ইফতার সেহরিতে কি খাবেন এবং কি খাবেন না

44

রোজা আমরা সবাই কম বেশি থাকি কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন, আমরা খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পরি। আমরা মনে করি এত বেশি সময় না খেয়ে থাকার কারণে আমরা দুর্বল হয়ে পরছি। আসল কারণ কিন্তু সেটা না, বরং ইফতার এবং সেহেরিতে সঠিক খাবার না খাওয়ার কারণেই আমাদের দুর্বল লাগে।অনেকেই ভালো লাগে দেখে ইফতার এবং সেহেরিতে অনেক কিছু খেয়ে ফেলেন কিছু না চিন্তা করেই।এটি আপনার জন্য ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসে না।আসুন জেনে নেই,ইফতার এবং সেহেরিতে আমাদের কি খাওয়া উচিত আর কি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

সেহেরিতে যা খাবেন

  • প্রোটিনযুক্ত খাবার সেহেরিতে খেলে আপনার বেস তরতাজা লাগবে।যেমন ডিম এ প্রচুর প্রোটিন আছে ডিম আপনি চাইলে অনেক রকম করেই খেতে পারেন।আপনার পচ্ছন্দমত রান্না করে ফেলুন।
  • ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন প্রচুর পরিমাণে আছে এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুণ। যেমনঃ দুধ, দই, মধু ইত্যাদি যেন আপনার সেহেরির খাবারের তালিকাতে থাকে।

সেহরিতে যা খাবেন না

  • লবনযুক্ত খাবার সেহেরিতে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। লবনযুক্ত খাবার খেলে আপনার খুব তাড়াতাড়ি তৃষ্ণা পেয়ে যাবে। লবনযুক্ত খাবার যেগুলো যেমন বাদাম, চিপস, সয়া সস ইত্যাদি আছে এমন খাবার ও এড়িয়ে চলুন।
  • ক্যাফেইন আছে এমন খাবার খেলে আপনার ঘুম আসবেনা কিন্তু বার বার আপনার পানির তৃষ্ণা পাবে। তাই চা, কফি , কোক ইত্যাদি সেহেরিতে ভুলেও খাবেন না।

ইফতারে যা খাবেন

বেশি পরিমাণে পানি খাওয়ার চেষ্টা করুণ ইফতারে। সারাদিন পানি না খাওয়ার কারণে আপনার শরীরে পানির শূন্যতা দেখা যায়। তাই প্রচুর পানি পান করুণ। পানি বেশি না খেতে পারলে বিভিন্ন রকম ফলের জুস ও পছন্দমত বানিয়ে খেতে পারেন।

শাকসবজি যত বেশি পারেন, খাওয়ার চেষ্টা করেন, এতে করে আপনার শরীর ভারী লাগবে না।শশা, লেটুস পাতা, গাঁজর ইত্যাদি শাক সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুণ।এসব শাকসবজি আপনার শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে।

ইফতারে যা খাবেন না

ইফতারে ভাজা পোড়া খাওয়ার অভ্যাস সবার বাসাতেই আছে এবং সবাই খেতে পছন্দ ও করে। বেগুনী ,পিঁয়াজুর লোভ যেন আমরা কোনভাবেই সামলাতে পারি না। এই ভাজা পোড়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। রমজান মাসে বাড়তি ওজন বৃদ্ধির কথা অনেকেই বলে থাকেন। ভাজা পোড়া ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

অনেকেই ইফতারে ভারী খাবারের সাথে কোক-ফ্যান্টা ইত্যাদি কার্বোনেটেড জাতীয় ড্রিঙ্কস পান করেন। এসব আপনার জন্য ক্ষতিকর তাই এর বদলে বিভিন্ন রকমের ফলের জুস, লাচ্ছি ইত্যাদি খেতে পারেন। রমজান মাস সংযমের মাস হলেও অনেকে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলেন।ভুরিভোজ করলেই যে আপনি সুস্থ থাকবেন, ব্যাপারটা তো এমন নয়।রমজান মাসে ফলমূল, মধু, খাঁটি দুধ ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে করে আপনার সারা বছর এসব খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হবে।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.